সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
spot_img

কবি এহছানুল আজিম’র একগুচ্ছ নির্বাচিত কবিতা

আলোর পথ
———-
চাইনা রাজভোগ বুঝি না রাজনীতি
আপন ধর্ম সংসার কর্মে
আনিয়াছি মনোযোগ
চাইনা হতে নেতা- মহারতি ।
আল্লাহর বান্দা রসুলের উম্মত এই মোর পরিচয়
আল্লাহর পথে করছি যাত্রা সঁপেছি হৃদয়
ব্যভিচারীর বাঁধা প্রতিরোধ রক্ত চক্ষু
তাই করিনা কবু ভয়।
সাহায্য চাই এক আল্লাহ্‌র কাছে দুঃখ পেলে নালিশ জানাই তাহারি আরশে
আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী
আল্লাহর নূরের সুগন্ধি পাই পবিত্র কুরআনের পরশে-
মালিকের কাছে দুহাত তুলে করি মোনাজাত
দুর্দিনে দুর্যোগে সকল বালা মুসিবতে ঈমানের পরীক্ষায় যেন আনিতে পারি জয়-
শেষ বিচারের দিনে নবী মুহাম্মদ ( সা.) এর সুপারিশ যেন পাই
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই
ক্ষমা কর হে’ দয়াময়
রাহমানুর রাহিম এর রহমত চাই তিনি অসীম কৃপাময়
জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা চাই হে’ পরম করুণাময়।


নবী মুহাম্মদ ( সা.) এর বাণী পৌঁছে দিতে বলে যাই
এক আল্লাহ ছাড়া আর অন্য কোন উপাস্য নাই –
যাদের ‌জীবনের বেলা গেছে শুধু দুনিয়াবী চিন্তায় মেতে
আল্লাহর ক্ষমা অপেক্ষা করিতেছে সকলের জন্য এসো আল্লাহর দিকে, আলোর পথে।
চাইনা রাজ্য রাজ প্রাসাদ
চাইনা রাজনীতি হালুয়া রুটির ভাগ
ন্যায্যতার সাথে কথা বলিতে চাই ঈমানের সাথে বাঁচিতে চাই নেই কারো প্রতি রাগ ঢাক-
দুই জাহানের মালিকের সাথে রাখিতে চাই সদা সচেতন যোগাযোগ
হে’ দয়াময় আমি পথহারা দেখাও আলোর পথ।
মানুষ হয়ে মানুষের দরজায় মাথা ঠুকে তুমি মরিবার আগে মরো নাকো
তোমার রিজিকের মালিক এক আল্লাহ
মসজিদে যাও আল্লাহর কাছে চাও সেজদায় মাথা রাখ।
হে’ দয়াময় আমাদের আরজ পাঠালাম তোমার আরশে
নিষ্পাপ করে উঠাইও মোদের শেষ বিচারের হাসরে।

অবেলার ফুল
———-
বেলা বয়ে গেল সে কবে
তুমি অবেলায় এলে
যৌবনে এলে না নিশি শেষে এলে।
তোমার পায়ের স্পর্শ নিবে বলে
সবুজ ঘাসের বুকের শিশির
পথ প্রাণে চেয়ে চেয়ে শুকিয়ে গেল
তুমি তখন চপল পায়ে এলে-
নদী ভরা জোয়ার তোমার
অপেক্ষার পর যখন ভাটায় গড়ালো
ভাটার টানে নৌকা পাল উড়ালো
তখন তুমি আঁচল উড়ায়ে এলে
তুমি অবেলায় এলে।
সারাবেলা হাতে এক জোড়া গোলাপ আর রোদ্র মাথায় নিয়ে
সাড়া না পেয়ে ক্লান্ত চরণে ফিরে এলাম –
অবেলার ফুল তুমি
বসন্ত পরে এলে-
তুমি অবেলায় এলে।


তোমার চাঁদ বদন দর্শন করে মরবে বলে তেজা দীপ্ত সূর্য পশ্চিমের গগনে
নিস্তেজ হয়ে সমুদ্র গভীরে ডুবে গেল
তুমি তখন সমুদ্রে নাইতে এলে
তুমি অবেলায় এলে।
দিনের আলো তোমার কাজল কালো দুই নয়নে স্বপ্নের ছবি আঁকবে বলে
আশা নিরাশার দোলায় দোলে
রংতুলি হাতে ঘুমিয়ে গেল
তুমি সন্ধ্যা পরে এলে –
তুমি অবেলায় এলে।
তোমার জন্য দিবানিশি ভাবিতে ভাবিতে কাঁদিতে কাঁদিতে বৃষ্টি অন্ধ হইয়া গেল
তখন তুমি সম্মুখ প্রানে এলে
তুমি অবেলায় এলে।
তোমায় আলো দেবে বলে জোসনার চাঁদ সারা নিশি জাগিয়া
জাগিয়া আমাবশ্যার ‌ আঁধারে হারিয়ে গেল
তখন তুমি ঘরের বাহিরে এলে –
তুমি অবেলায় এলে।
তোমার তৃষ্ণা মিটাবে বলে
এক নদী ভালোবাসার জল নিয়ে
প্রতীক্ষার প্রহর গুনিতে গুনিতে বুকের সমুদ্র শুকিয়ে গেল-
তখন তুমি কলসি কাঁদে
জল ভরিতে হৃদয় নদীর শূন্য ঘাটে এলে-
তুমি অবেলায় এলে।।

চার আনা বাকি
————-
অভিযোগ নেই কারো জন্য
আমি শত অভিযোগে অভিযুক্ত অভিযোগ কেবলই আমারই জন্য।
পরিবার-পরিজন আপনজন যত যা আছে সকলের জন্য
নিজেকে উজাড় করিয়া দুহাত ভরিয়া দিয়া হয়নি তবু তাদের ষোল আনা পূর্ণ –
হয়েছে কেবল বারআনা
চারআনা ঘরে শূন্য
চার আনার অভিযোগ
সদা মোর পানে
নিজেরই জোটে না তিনবেলা অন্য।


প্রিয়তমার অভিযোগ দেই না তারে সময় –
ভালোবাসি না আগের মত করে, রাগ-অভিমানে সদা অভিযোগের বায়ান আনে
পরিবারের অভিযোগ আনিয়াছি ফলমূল দুধ কলা বাদ পড়িয়াছে বিকেলের নাস্তার ছোলা।
ছোট ভাই বেকার কেন করি না তাদের চাকরি দেন দরকার।
ঈদুল ফিতর রমজানে
মা বলে কানে কানে
নতুন সম্বন্ধ
বোনের বাড়িতে
কাপড়-চোপড় ইফতারি না দিলে লোকে বলবে মন্দ।
দেওয়া হলো সবি
সাধ্যের মধ্যে কাপড়-চোপড় ফলমূল হরেক রকম ইফতারি
দেওয়া হয় নাই পান সুপারি
তাই নিয়ে বোনের সারা বাড়িতে আড়া আড়ি
অমনি ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দ
ছোট বোনের ফোন কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলে-
দরকার ছিল না আমার জন্য সাড়ি !
কেন পাঠালে না পান সুপারি
পান সুপারি দেওয়া পূর্বপুরুষের রেওয়াজ নাকি
ষোলোয়ানা দেওয়ার পরেও থেকে যায়-
চার আনা বাকি।

খুঁজি চরণতলে ঠাঁই
—————
জীবন চলার পথে যখন একা হয়ে যাই নির্ভরতার প্রতিক বাবাকে খুঁজি বাবা তো বেঁচে নাই।
যখন ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরি
নানামুখী সমস্যায় পড়ি
পাইনা খুঁজে সমাধান
খুজি বাবাকে বাবা ছিল আমার অভিধান।
বলেছিল বাবা, উঠতে হবে ভোরে
নয়টায় অফিসে যেতে হবে
নইলে কাজের অগ্রগতি হবে না
সূর্যকে তুমি আর দৌড়াইয়া ধরতে পারবা না।
সূর্য বয়ে গেল বহুদূর
জীবন নুইয়ে গেল ব্যর্থতার ভরে
করি নাই বাবার উপদেশ চর্চা
কর্ম জীবনের যাতা কলে পড়ে
আজ বাবাকে বড় বেশি মনে পড়ে।


বাবার দুটি বোন ছিল
বাবা ছিল বাপের এক ছেলে
এ নিয়ে বাবার মনে কষ্ট ছিল
বলেছিল তোমরা ভাই বোন নয়জনা থাকবে মিলেমিশে –
মা বাবার মৃত্যুর পর সে স্বপ্ন মণীিল হল নিমেষে
বড় ভাই বাবার সমান অনেক ঊর্ধ্বে এত উর্ধ্বে তাকে ছোঁয়া যায় না –
বোনরা আছে যার যার সংসারে
ইচ্ছে থাকলেও সব সময় দেখা হয় না
দুটি ভাই কর্মক্ষমতা নাই
কর্ম আছে সফলতা নাই
দুঃখ তাদের ছেড়ে যায় না।
আরেক ভাইয়ের গোয়াড়তামিতে ভেঙেছে পরিবারের কাছের প্রেম তা আর জোরা লয় না।
ছোট ভাই আদরের
বড় আদরের ছোট ভাই
বিয়ে কর্মসংস্থান পরে তারে কি আর কেউ কাছে পাই!
মায়ের মৃত্যুর পরে
বছর গড়িয়ে বছর এলো
মিটিলো না বিবাদ
শান্তি এলো না ফিরে
বাবা তোমাকে মনে পড়ে
বাবা তোমাকে বড় বেশি মনে পড়ে
যখন ক্লান্ত হয়ে যাই
অনেক দুঃখ অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে পাই না কোথাও ঠাঁই
ঠাঁই খুঁজি তোমাদের চরণতলে
তোমরা চলে গেলে না ফেরার দেশে চরণের ছায়া নাই
মা-বাবা মাথার ছায়া থাকতে সময় বুঝি নাই।

 

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত সঞ্জয় কুমার সাহা

পূর্বকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক...

ইজারাদারদের দাবি, সাতকানিয়া দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের

অনলাইন ডেস্ক: সাতকানিয়ার দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের দাবী...

পাঠ্যপুস্তক

রতন চন্দ্র পাল, অতিথি লেখক: মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ...

আ.লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন বিধান রক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক...

সাতকানিয়ার কেরানীহাটে আশ্-শেফা স্কুল এন্ড কলেজে নাতে রাসুল (সাঃ) প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

এস এম আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: পবিত্র রবিউল আউয়াল...
spot_img