অনলাইন ডেস্ক: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চার পা-ওয়ালা একটি কানি বকের সন্ধান পাওয়া গেছে। বকটির দু’পা স্বাভাবিক থাকলেও, অন্য পা দুটি আকার কিছুটা ছোট। সেই চার পা-ওয়ালা বকটি এক নজর দেখতেই ভিড় উৎসুক জনতার। বকট উদ্ধার করেছে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই বালাটারী গ্রামের ক্ষুদ্র হাড়ি পাতিল ব্যবসায়ী ও পাখি প্রেমিক আব্দুর রশিদ।
তিন দিন আগে গ্রামে হাড়ি পাতিল বিক্রি করতে গিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে ছটফট করতে দেখেন তিনি। পরে কৌশলে বকটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।বকটির একটি পায়ের সমস্যা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা করে খাঁচায় রেখে লালন পালন করেছেন আব্দুর রশিদ। পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রতিনিয়ত বকটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সেবা যত্ন করছেন।বকটিকে তিনি প্রতিদিন ছোট ছোট মাছ কিনে খাওয়াচ্ছেন। বর্তমান বকটি সুস্থ রয়েছে।
নজর মামুদ এলাকার শিক্ষার্থী রোখসানা খাতুন ও মাসুদা খাতুন ও মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে চার পা-ওয়ালা বকটি দেখতে এসেছি। খুব কাছে থেকে দেখলাম।এই চার পা-ওয়ালা কানি বক আগে কখনও দেখিনি। দেখে ভালো লাগল আমাদের।স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক ও মমিনুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, আমরা জীবনে অনেক বক দেখেছি। কিন্তু চার পা-ওয়ালা বক কখনও দেখিনি। এসেটা দেখলাম আব্দুর রশিদ ভাইয়ের বাড়ি।
পাখি প্রেমিক ও হাড়িপাতিল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ জানান, ছোটবেলা থেকেই আমি যেকোন পাখিকে খুবই ভালোবাসতাম। তিন দিন আগে আমি হাড়ি পাতিল বিক্রি করতে গিয়ে একটি পুকুরে কানি বকটিকে দেখতে পাই। এরপর কাছে গিয়ে দেখি বকটি তেমন উড়তে পারছে না । চার পা-ওয়ালা বকটি দেখে আমার খুবই মায়া হয়। পরে বাড়িতে নিয়ে এসে খাঁচায় অত্যন্ত যত্নসহকারে লালন-পালন করছি। প্রতিদিন চার পা-ওয়ালা ওই বকটি দেখতে বাড়িতে কিছু উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান কনক জানান, এটি একটি দেশি প্রজাপতি বক। গ্রামের মানুষজন এটিকে কানি বক হিসেবে চেনেন। চার পা-ওয়ালা বকটি দেখে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। এটি জন্মগত ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।
