সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
spot_img

এস আলমের ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, কালো টাকা নিয়ে জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পে-অর্ডার জালিয়াতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আয়কর নথি পর্যালোচনায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার পর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়- চট্টগ্রাম ১ এ দণ্ডবিধির ১০৯, ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।এতে অভিযোগ করা হয়েছে, এস আলমের দুই ছেলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের অপব্যবহার করে ৫০ কোটি টাকার ভুয়া পে-অর্ডারের তথ্য দিয়ে তাদের আয়কর নথি দাখিল করেন।
মামলায় এস আলমের দুই ছেলে আসাদুল আলম মাহির ও আশরাফুল আলম ছাড়া অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর সাবেক উপ-কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, মুহাম্মদ আমির হোসাইন, আহসানুল হক, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, শামীমা আক্তার, আনিস উদ্দিন ও গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব।
দুদক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। অভিযুক্ত দু’জন সেই সুযোগ নিয়ে ওই অর্থবছরে ২৫ কোটি করে মোট ৫০ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে কর পরিশোধ করেছেন বলে আয়কর নথিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু আয়কর নথি ও ব্যাংক হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ সময়ের মধ্যে তাদের নামে কোনো পে-অর্ডার সৃজন হয়নি। এমনকি তাদের হিসেবে এ পরিমাণ টাকাও জমা হয়নি। অথচ তারা আয়কর নথিতে ভুয়া পে-অর্ডার সংযুক্ত করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসাদুল আলম মাহির ২০২০-২০২১ সালের প্রদর্শিত আয়কর রিটার্নে ২০২১ সালের ২৯ জুন তারিখের পে অর্ডারের মাধ্যমে কর প্রদর্শনের তথ্য দেয়। একইসঙ্গে ব্যাংক হিসেবে ওইদিন ২৫ কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলন দেখানো হয়। কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায় যে, ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে পে অর্ডার ও হিসাব বিবরণী দাখিল করা হয়, সেই ব্যাংক হিসাবটি খোলা হয়েছে হিসাব বিবরণী ও পে অর্ডার দাখিলের আরও ৫ মাস ২০ দিন পর অর্থাৎ একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর। এছাড়াও, টাকা জমার কোন রশিদও পাওয়া যায়নি।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ২০ ডিসেম্বর ব্যাংকে কোনো লেনদের তথ্য পাওয়া না গেলেও সে তারিখে ব্যাংক জমার রশিদ পাওয়া গেছে।
একইভাবে তার অপর সন্তান আশরাফুল আলমের ব্যাংক হিসেবের মাধ্য ২০২১ সালের ২৯ জুন পে অর্ডার ইস্যু করা হলেও ওইদিন সেই হিসাবে কোনো টাকা ছিল না এবং পে অর্ডারের টাকা জমা দেওয়ার কোনো রশিদও পাওয়া যায়নি। তাছাড়াও ২৯ জুন তারিখে ২৫ কোটি টাকা জমা এবং লেনদের তথ্য হিসাব বিবরণীতে থাকলেও ২০ ডিসেম্বর তারিখে ব্যাংক জমার রশিদ পাওয়া যায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আয়কর বিভাগ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া পে-অর্ডার সৃজন করে দণ্ডবিধির ১০৯, ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত সঞ্জয় কুমার সাহা

পূর্বকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক...

ইজারাদারদের দাবি, সাতকানিয়া দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের

অনলাইন ডেস্ক: সাতকানিয়ার দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের দাবী...

পাঠ্যপুস্তক

রতন চন্দ্র পাল, অতিথি লেখক: মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ...

আ.লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন বিধান রক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক...

সাতকানিয়ার কেরানীহাটে আশ্-শেফা স্কুল এন্ড কলেজে নাতে রাসুল (সাঃ) প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

এস এম আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: পবিত্র রবিউল আউয়াল...
spot_img