চবি প্রতিনিধি: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, মেধা না কোটা? মেধা-মেধা, মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না, কোটার বিরুদ্ধে -লড়ায় হবে একসঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যর ঠাঁই নাই ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর চট্টগ্রাম-হাটহাজারী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সড়কে আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সাম্য, ন্যায়বিচার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আমরা যখন আমাদের ওপর কোটার বৈষম্য দেখতে পাই তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে আমাদের ওপর পাকিস্তানীরা যে বৈষম্য করেছিল সেরকম বৈষম্যের শিকার আমরা এখন হচ্ছি। ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা একটি চরম বৈষম্য। তা মেনে নেওয়া যায় না।
বিজ্ঞাপনদর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বৈষমর বিরুদ্ধে। এখন কোটার বৈষম্যর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব যতদিন না আমাদের দাবি মানা হয়।