নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার পাঁচলাইশ থানায় ৩টি ও খুলশী থানায় ১টি মামলা করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এসব মামলায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, ২ নম্বর গেইট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী শাহেদ আলী বাদী হয়ে ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেছেন। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ফুটেজ দেখে আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা জানান, থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় প্রতিটিতে অজ্ঞাতনামা ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়। আরেকটি মামলা করেন মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত ইমন ধরের মা সুমি ধর। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আজ (গতকাল) বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে গত বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৮৮ জনকে এবং বুধবার থেকে ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


