নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও সনাতনী সম্প্রদায়ের দূর্গোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। রোববার ছিল বিজয়া দশমী। এ দিন সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে বিদায়ের সুর। ট্রাকে ট্রাকে করে সৈকত পাড়ে নেয়া হয় প্রতিমা। আর সমুদ্রে দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই চট্টগ্রাম নগরের চারটি পয়েন্টে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
সরেজমিনে সকাল থেকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে, তেল-সিঁদুর পরিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে সাগরপাড়ে ছুটছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। সকাল থেকেই ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে সমুদ্র সৈকতে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষও প্রতিমা বিসর্জন দেখতে ভিড় করতে থাকে সৈকত পাড়ে।
এর আগে তিথির কারণে শনিবার একই দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে প্রথমে মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা হয়। ওই পূজা শেষেই দশমীর লগ্ন হওয়ায় সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে করা হয় বিজয়া দশমী বিহিত পূজা ও দেবীর দর্পণ বিসর্জন। তবে শনিবার নবমীর দিন হওয়ায় রোববার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ছাড়াও পাথরঘাটা গঙ্গাবাড়ি এলাকায় কর্ণফুলীতে, কালুরঘাট এলাকায় ও কাট্টলী রানী রাসমনি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত সহ চট্টগ্রাম জেলা বিভিন্ন উপজেলায় নদী বা পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা।
শনিবার বিকেলে নগরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, ভক্তরা দেবী দুর্গা মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেন। পরে এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে ঘুরে দুর্গা দেবীর প্রতিমা দর্শন করে ভক্তরা মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন। তবে বিসর্জনের ক্ষণ এগিয়ে আসায় ভক্তদের মনে ছিল বিদায়ের সুর।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার অনুরোধ করেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।