নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আবহমান কাল ধরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য লালন করে আসছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, সবাই একসাথে পড়ালেখা, চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি রাজনীতিও করি। এছাড়াও ধর্ম অনুশীলন বা চর্চার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। তিনি বলেন, সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও পরশ্রীকাতরতা মানুষকে মহৎ করে না বরং ছোট করে। তাই আসুন, একে অপরের হাত ধরে বৈষম্যহীন ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
সোমবার ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বৌদ্ধ ধর্মীয় ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির এর শততম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কতিপয় দুর্বৃত্ত বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এদের কোন ধর্ম নেই, সংখ্যাও নগণ্য। আমাদের মধ্যেই এরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে।
বৌদ্ধনেতাদের কাছ থেকে ভারতের বুদ্ধগয়ায় তীর্থযাত্রায় ভিসা প্রাপ্তি বিষয়ে সমস্যার কথা শুনে তিনি এ বিষয়ে ভারতের হাই কমিশনে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমায় সরকারি ছুটির বিষয়ে বৌদ্ধ নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে বৌদ্ধ সমিতির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাবি উত্থাপন করলে তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগীতার আশ^াস দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ বড়ুয়া প্রমূখ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো: আবু আহসান, অধ্যাপক তুষার কান্তি বড়ুয়াসহ বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।