নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় দিনের মত কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘটে বন্ধ ছিল বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া। চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার-ঘোষিত মজুরি প্রদানের দাবিতে দুই দিনব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে গাড়ি বন্ধ রেখে বন্দরে জড়ো হতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। এ কারণে বেসরকারি ডিপোগুলো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেওয়া যায়নি। একইভাবে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপো বা কারখানায় নেওয়া যায়নি।
তবে বিকেলে কনটেইনার পরিবহনের বিশেষায়িত গাড়ি প্রাইমমুভার ট্রেইলার শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে ধর্মঘট স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাইমমুভার ট্রেইলার, কনক্রিট মিক্সার , ফ্ল্যাটবেড ও ড্রামট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেলিম খান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ধর্মঘটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পণ্য রপ্তানিতে। রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ডিপোতে নেওয়া হয়। বেসরকারি ডিপোগুলোতে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এসব কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দরে পাঠানো হয় প্রাইমমুভার ট্রেইলার গাড়িতে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার একক কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হয়।
বেসরকারি ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, ধর্মঘটের কারণে ডিপোগুলো থেকে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যায়নি। ধর্মঘট চললে নির্ধারিত সময়ে জাহাজে পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পণ্যের ৯৯ শতাংশ পরিবহন হয়। ধর্মঘটের কারণে কনটেইনারে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ছে।