শনিবার, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
spot_img

আমনের বাম্পার ফলন, ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফসলের আশা করছেন কৃষকেরা। সাম্প্রতিককালের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর এক লাখ ৭৯ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ফটিকছড়ি, মিরসরাই ও হাটহাজারীতে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া অন্য উপজেলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুচ ছোবহান বলেন, বন্যার পানিতে প্রতিটি উপজেলায় কম-বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি, মিরসরাই ও হাটহাজারী উপজেলায়। তবে উঁচু জায়গায় লাগানো বীজতলা অক্ষত ছিল। এছাড়াও সরকারি সহায়তায় দ্রুত বীজতলা তৈরি করা হয়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকদের মধ্যে সমন্বয় করে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বীজ সরবরাহ করা হয়। এ কৌশলে ক্ষতির ধাক্কা কাটানো সম্ভব হয়েছে।
বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের চাষি কুমকুম দাশ, ধলধাট এলাকার অনুপ দাশ বলেন, কর্ণফুলী নদীর আশপাশের এলাকাগুলোতে আমনের বীজতলার বড় ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় রোপণ করা বীজতলা ভালো ছিল।
কৃষি বিভাগ জানায়, এবার বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জেলার ৬৬ হাজার কৃষককে সার, বীজ ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয় সরকার। এছাড়াও ৮ হাজার ৬শ জনকে রবিশস্য উৎপাদনের সার-বীজ সহায়তা দেওয়া হয়। মাঠ চাষাবাদের জন্য ৪৭ হাজার কৃষককে ৮ ধরনের শীতকালীন সবজি বীজ, ২০ কেজি করে সার ও কৃষকের বিকাশ একাউন্টে নগদ এক হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া আরও ১৯ হাজার কৃষককে বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। এ ধাপে রয়েছে শীতকালীন সবজি ও পরিচর্যার জন্য নগদ এক হাজার টাকা।
জানা গেছে, গত মৌসুমের (২০২৩ সাল) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুচ ছোবহান আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমনের রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বন্যার বড় ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
আশা করছি, সামনের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় জেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়। এরমধ্যে রয়েছে রোপা আমন, আমন বীজতলা, আউশ ধান ও সবজির ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। এতে এক লাখ ৬১ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। সবমিলে কৃষি বিভাগের ক্ষতি হয় ৩১৪ কোটি টাকা।

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত সঞ্জয় কুমার সাহা

পূর্বকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক...

আ.লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন বিধান রক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক...

সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ অর্ধ যুগের বেশি সময় পর...

প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ -এর সদস্য সংগ্রহ সভা

পূর্বকাল ডেস্ক: মোহরা ওয়ার্ড, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড, সরাইপাড়া ওয়ার্ড...

সাতকানিয়ায় ছিটুয়াপাড়া ফ্রেন্ডশীপ ফুটবল টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু

সাতকানিয়া প্রতিনিধি: সাতকানিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডস্থ ছিটুয়াপাড়া ফ্রেন্ডশীপ...
spot_img