নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় গুলি করে ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একটি আদালত। মঙ্গলবার সন্ত্রাসী সাজ্জাদের দুই সহযোগী মো. হেলাল ও ইলিয়াছ হোসেন অপুর রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত। এদের মধ্যে হেলালের ৩ দিন এবং অপুর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তবে ওই হত্যার ‘মূলহোতা’ বুড়ির নাতি ছোট সাজ্জাদ এখনো অধরা।
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর তাদের গ্রেফতারের পর উভয়ের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া জাগরণী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন স্থানীয় ইট ও বালু ব্যবসায়ী তাহসীন। এ সময় কালো একটি মাইক্রোবাসে দলবল নিয়ে গিয়ে তার ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ প্রকাশ বুড়ির নাতি। এতে ঘটনাস্থলে তাহসীনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাজ্জাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. মুছা। পরে গত ২৫ অক্টোবর নগরের পাঁচলাইশ থানার হাদুমাঝিপাড়া এবং হাটহাজারী-রাউজান উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মো. হেলাল এবং ইলিয়াছ হোসেন অপুকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন দিবাগত রাতে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় মো. এমরান নামে আরও একজনকে। যিনি ছিলেন মূলত নিহত তাহসীন সম্পর্কে তথ্যদাতা। গ্রেফতার হেলাল মামলার ৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
এসআই মোমিনুল ইসলাম বলেন, চান্দগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর তাহসীন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হেলাল ও অপুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত হেলালের ৩ দিন এবং অপুর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাদের আরো নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হেলাল এবং অপু দুজনেই সাজ্জাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তিনি আরো বলেন, তাহসীন হত্যার ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। তারা প্রত্যেকে প্রধান আসামি সাজ্জাদের সহযোগী। সাজ্জাদকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।