মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
spot_img

বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতির অবসান ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ সুজন’র

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন, সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটানো, বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতির অবসান ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরের চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সুজন চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক সিকান্দার খান এবং সদস্য সচিব এড.আখতার কবীর চৌধুরী।
বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি উল্লেখ করে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ, ‘না’ ভোটের বিধান চালু, এবং নারী নির্যাতন ও নিপীড়নে বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বিধিমালার সংশোধন করতে হবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে জনপ্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণমুক্ত করা, কোনো দলীয় কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের জন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে মাজদার হোসেন মামলার রায়ের যথাযথ বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণসহ দুটি বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। কেননা আমাদের সাংবিধানিক আকাঙ্খার আলোকে (১১, ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য আইন প্রণয়নের প্রত্যাশা থাকলেও তা অদ্যাবধি হয়ে ওঠেনি, বাস্তবায়ন করা যায়নি প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের চেতনা। অথচ স্থানীয় সরকারের কর্মকাণ্ডে সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচনগুলো নির্দলীয় ভিত্তিতে সংসদীয় পদ্ধতিতে আয়োজন, জেলা পরিষদ নির্বাচন মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে না করে সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে আয়োজন, ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং ক্ষমতা, দায়িত্ব ও সম্পদে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা ইত্যাদি এখন সময়ের দাবি। এ সকল দাবি পূরণে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে অবিলম্বে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা যত ধরনের সংস্কারের পথেই হাটি না কেন, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তন না আনতে পারি, তবে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। তাই, সংস্কারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণমুখী করতে হবে। নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, নারীর প্রতি বৈষম্য, পরিচয়ভিত্তিক বিদ্বেষ ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার পরিহার ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান উইনার টেক-অল’ বা বিজয়ীদের সবকিছু করায়ত্ত করার ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতির অবসান হওয়াও জরুরি। পাশাপাশি পারস্পরিক বিরোধিতার পরিবর্তে, পারস্পরিক সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আশাকরি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ রাষ্ট্র-সংস্কারের বিষয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত সঞ্জয় কুমার সাহা

পূর্বকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক...

আ.লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন বিধান রক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক...

সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ অর্ধ যুগের বেশি সময় পর...

প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ -এর সদস্য সংগ্রহ সভা

পূর্বকাল ডেস্ক: মোহরা ওয়ার্ড, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড, সরাইপাড়া ওয়ার্ড...

সাতকানিয়ায় ছিটুয়াপাড়া ফ্রেন্ডশীপ ফুটবল টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু

সাতকানিয়া প্রতিনিধি: সাতকানিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডস্থ ছিটুয়াপাড়া ফ্রেন্ডশীপ...
spot_img