নিজস্ব প্রতিবেদক:শহীদ তিতুমীর ও বাঁশের কেল্লা দিবস উপলক্ষে প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ -এর উদ্যোগে আজ সকাল এগারোটায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন হায়দার আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির ভাষণে বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরী বলেন, “ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ তিতুমীরের নাম উজ্জ্বল হয়ে আছে। ব্রিটিশ শাসন হতে স্বাধীনতা লাভের জন্য সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তাঁর নেতৃত্বে ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বারাসাতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া নামক গ্রামে কেবলমাত্র বাঁশ ও কাদামাটি দিয়ে একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করা হয়। গ্রামের সাধারণ কৃষক ও যুবকদের সংগঠিত করার মাধ্যমে তিতুমীর তাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত করেন। ইতিহাসে এটিই “বাঁশের কেল্লা” নামে বিখ্যাত হয়ে আছে।
১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর শক্তিশালী রাজকীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার কর্নেল হার্ডিংয়ের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সেনারা ভারী অস্ত্রশস্ত্র গোলা বারূদ নিয়ে তিতুমীর বাহিনীর ওপর আক্রমণ করায় তাদের সাধারণ তলোয়ার ও হালকা অস্ত্র দিয়ে রাজশক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। সে অসম যুদ্ধে তিতুমীর শাহাদাত বরণ করেন এবং তাঁর দেশপ্রেমের অনন্যসাধারণ নিদর্শন “বাঁশের কেল্লা” দখলদার ব্রিটিশ বাহিনীর ভারী ভারী গোলার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তাঁর পুরো নাম মীর নিসার আলী তিতুমীর। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি ও তাঁর বাঁশের কেল্লা আজো মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজগর হোসেন, মোহাম্মদ আরিফ, মোহাম্মদ সবুজ, আলাউদ্দিন, রাহেনা বেগম, শিল্পী প্রিয়া মির্জা , রূপালী দাশ, পপি রাণী মজুমদার ও বশির উদ্দিন প্রমুখ।