নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন এর বাংলাবাজারস্থ অফিস কার্যালয়ে নৌ-যান শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার উক্ত সভায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা হাজী শেখ মোঃ ইছামিয়া ও প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন (মাষ্টার)। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মোঃ তালিম উল্লাহ ফকির (ড্রাইভার) ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (মাষ্টার), সাংগঠনিক সম্পদক মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাষ্টার), অর্থ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আউয়াল আব্দুলাহ (ড্রাইভার), কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ শাহাজাহান (মাষ্টার), আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী (মাষ্টার) ও প্রচার সম্পাদক এম,এ রহমান (মাষ্টার) সহ আরো অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বহিঃনোঙ্গর থেকে চলাচলকারী লাইটার জাহাজ সমূহ জাহাজ মালিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ওয়াটার ট্রান্সর্পোট সেল এর ছাড়পত্রের মাধ্যমে সিরিয়ালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিত। সেই সাথে জাহাজ ব্যবসা উন্নতি সহ শ্রমিকদের বেকারত্বের হারও হ্রাস পেয়েছিল। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যেমন শিল্প ধ্বংস করছে তেমনি অনেক শ্রমিকও বেকার হচ্ছে। এ সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জাহাজ কেটে ফেলা হয়েছে। এতগুলো জাহাজ কেটে ফেলায় প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মালিকরা ব্যবসা করতে না পারায় জাহাজ কেটে ফেললে আর কিছু মাসের মধ্য আরো ৮/১০হাজার শ্রমিক বেকার হবে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পণ্য পরিবহন নীতিমাল-২৪ ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করে পুনরায় জাহাজ সমূহ সিরিয়ালে চলাচল শুরু হয়। এতে নৌ-শিল্পের মালিকেরা একটু সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এবং শ্রমিকদের চাকুরি হারানোর আশংকা কমে যায়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত গত ১৯ নভেম্বর উক্ত পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২৪ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করায় নৌ-শিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে আশে। এতে শিল্প ধ্বংস হওয়ার যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি শ্রমিকদের বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। উচ্চ আদালতের এই আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়ে শিল্প অচল হতে পারে এবং দেশে সংকট দেখা দিতে পারে। এই অব¯’া থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের প্রতি বক্তারা জোর দাবী জানান। অন্যথায় যেকোন মূহুর্তে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লাইটার জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।