মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৫
spot_img

চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ অপারেটর-শিপিং এজেন্ট দ্বন্দ্ব, নিরসনের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের

মো. জাহেদ উল্ল্যাহ চৌধুরী: চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের মধ্যে জটিলতা ও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং কাজ ধীরগতি করা ও কিছু ডকুমেন্টেশন কাজ বন্ধ করার অভিযোগ তুলেছে শিপিং এজেন্টরা। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বন্দরের মধ্যস্থতায় সমাধানের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি-৯ ও জিসিবি-১০ বার্থে থাকা দুই জাহাজে চলমান কাজের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন। প্রতিবছর জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন বিলে শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধির সময় আসলে এমন জটিলতা দেখা দিলেও এবারের দ্বন্দ্ব শুরু হয় গত অক্টোবরে বার্থ অপারেটরের পক্ষ থেকে বন্দরকে এক চিঠি দেওয়ার পর থেকে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল ও জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ করে বন্দরের সাথে ৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ বার্থ অপারেটরস ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটররা। তবে চুক্তির পরেও বর্তমানে বার্থ অপারেটর সেবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে চুক্তি সংশোধন করে ৫৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির দাবি তোলে বন্দরে নিয়োজিত বার্থ অপারেটররা।
এদিকে জাহাজের অনবোর্ড অপারেশন নিয়ে বার্থ অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা বলছে, জাহাজে কাজ বন্ধ নেই এবং জাহাজ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়েই জাহাজ ছেড়ে যাবে। তার আগে অভিযোগ করা ভিত্তিহীন। বিভিন্ন ডকুমেন্টশনের যে অতিরিক্ত কাজ বার্থ অপারেটররা করে সেটি চুক্তির বাইরে। সেটি তাদের কাজ নয়।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল বার্থ অপারেটরস, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরস এন্ড টার্মিনাল অপারেটরস ওনার্স এসোসিয়েশন। ওই সময় আগাম জানানো হয়েছিল, সেবা চার্জ বৃদ্ধি করা না হলে চুক্তির বাইরে বার্থ অপারেটররা শিপিং এজেন্টদের যেসব অতিরিক্ত কাজ তারা করে দেন সে সব আর চলমান রাখা সম্ভব হবে না।
এদিকে জাহাজের বার্থ অপারেটরদের জাহাজে অন বোর্ড অপারেশন বিল পরিশোধ করে শিপিং এজেন্টরা। তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) গত বছরের ১২ নভেম্বর এক সভায় বসেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্থ অপারেটরকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে অনবোর্ড অপারেশন হ্যান্ডলিং রেট বৃদ্ধির পূর্ণাঙ্গ যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিখিত প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়।
সেই প্রস্তাবনা বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপিং এজেন্টদের কাছে পাঠায় এবং বার্থ অপারেটরদের যৌক্তিকতার ওপর শিপিং এজেন্টদের মতামত লিখিত আকারে দিতে বলা হয়। উভয় পক্ষের লিখিত মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আবার সভা হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তার আগেই দুই পক্ষ একে অপরকে অভিযোগ করছেন।বার্থ অপারেটরদের পক্ষ থেকে বন্দরকে দেওয়া চিঠিতে খরচের যে বিবরণী উল্লেখ করা হয় তাতে দেখা যায় প্রতি বক্স কনটেইনারে বার্থ অপারেটরদের ৩৫৩ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে প্রতি কনটেইনারে বার্থ অপারেটরেরা ৬৬২ টাকা লাভ করে।এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির সমাধান করতে জরুরি সভা চান উভয় পক্ষ।

সর্বশেষ

যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত সঞ্জয় কুমার সাহা

পূর্বকাল ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক...

ইজারাদারদের দাবি, সাতকানিয়া দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের

অনলাইন ডেস্ক: সাতকানিয়ার দেওয়ানহাট বাজার পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিতকরণের দাবী...

পাঠ্যপুস্তক

রতন চন্দ্র পাল, অতিথি লেখক: মানব সভ্যতার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ...

আ.লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন বিধান রক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক...

সাতকানিয়ার কেরানীহাটে আশ্-শেফা স্কুল এন্ড কলেজে নাতে রাসুল (সাঃ) প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

এস এম আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: পবিত্র রবিউল আউয়াল...
spot_img